বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এবং দেশের বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য। সৈয়দ রেজাউর রহমান ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলকপ মাসিক বুলেটিন দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় তাঁর এই মূল্যবান সাক্ষাৎকারটি ছাপা হলো। এখানে তিনি কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যামামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা, বাংলাদেশের আইন শিক্ষা, আইন পেশাসহ আরো নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে এলকপ রিসার্চ টিম।
এলকপ রিসার্চ টিম (এরিটি): ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫-এ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। অপরাধীদের বিচার করার প্রক্রিয়াটি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো। কোন একটি সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কি এমন একটি কাজ করতে পারে?
সৈয়দ রেজাউর রহমান (সৈরের): মূলত এবং প্রধানত মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইন্ধনে ১৫ ই আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। যে অপরাধ সংঘটনের চিত্র আমরা পাই, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড গণ্য করলে এই ধরণের একটি হত্যাকাণ্ড পূর্বে সংঘটিত হয়নি।
বিপথগামী কিছু সৈনিক-সেনাবাহিনী সদস্য কর্তৃক এই হত্যাকাণ্ডের পরে যারা এর সুবিধাভোগী, তারা তৎকালীন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। তারা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারহীনতার একটি সংস্কৃতি চালু করেছে। এই সংস্কৃতি চালু হওয়াতে বিবেকবান বিশ্বের কাছে জাতির পিতার হত্যা একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। দীর্ঘদিন পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসলেন, তখন তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করলেন এবং দেশের আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য শুরু হলো। যারা হত্যা করেছে তারা সেসময়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাম্ভিকতার সাথে স্বীকার করেছে অথচ পরবর্তীতে বিচারের সম্মুখীন হয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও বিচার প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বিচার পেতে বিচারপ্রার্থী মানুষেরা গলদঘর্ম হয়ে গেছে।
এরিটি: ইউটিউবে এখনো কিছু সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়। এগুলো কি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা হয়েছে?
সৈরের: আদালতে এসেছে সাক্ষ্য হিসেবে কিন্তু আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়নি। কেননা তখন পর্যন্ত সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী ডিজিটাল এভিডেন্স স্বীকৃত ছিল না।
এরিটি: আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারটি সঠিক সময়ে হলে এই ধারাটি অব্যাহত থাকতো না। আপনার কি মনে হয় স্যার?
সৈরের: আমারও তাই মনে হয়, কিন্তু দীর্ঘদিন বিচার না হওয়াতে এমনটি হয়েছে। উচ্চতর আদালতে একাধিক বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন। এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে বিচারিক আদালত ছাড়াও দুটি উচ্চতর আদালত হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগে বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
এরিটি: আপনি কোন পর্যায়ে এই মামলার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন?
সৈরের: আমি বিচারিক আদালতে একজন প্রসিকিউটর ছিলাম এবং মরহুম সিরাজুল হক চিফ প্রসিকিউটর ছিলেন। আমি সৌভাগ্যবান যে এই মামলার বিচারকার্যের অংশ হতে পেরেছিলাম।
এরিটি: স্যার, জানা যায় যে আপনারা এই মামলা লড়তে গিয়ে কোন পারিশ্রমিক নেননি। এই ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন।
সৈরের: আমি এবং সাহারা খাতুনসহ আরো অনেক আইনজীবীই পারিশ্রমিক নেননি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আসলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি দায়বদ্ধতা ও কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গা থেকে। আমাকে পরবর্তীতে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে আমার ঋণ কি পরিশোধ হয়েছে? আমি বলেছিলাম, এই ঋণ কখনোই পরিশোধযোগ্য নয়। আমি চেষ্টা করেছি মাত্র।
এরিটি: পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কি এই বিচার প্রক্রিয়া কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলো?
সৈরের: বিচারকদের বিব্রতবোধ করাটাও কিন্তু একটা প্রক্রিয়া বাধা দেয়ার। প্রত্যক্ষভাবে বাধা না দিলেও পরোক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত করেছিলো। বিচারের রায় কার্যকর করতে বেশ দীর্ঘ একটি সময় লেগেছিলো। এখনো বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এরিটি: সাক্ষ্য বা সাক্ষী জোগাড় করতে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে?
সৈরের: অনেক বাধা ছিলো। আসামীদের বিচার চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই তারা আইনগত লড়াই করে মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করার জন্য বাধার সৃষ্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে যারা ছিল তারা নির্ভয়ে সাক্ষী দিয়েছে।
এরিটি: যারা অভিযুক্ত হত্যাকারী তারা তো পালিয়ে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছিল। তারা কিভাবে এই বিচার প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করেছিলো?
সৈরের: আসামীরা স্টেট ডিফেন্সের মাধ্যমে বিচারে অংশগ্রহণ করেছিল। আইনেই এই ধারাটি রয়েছে। যারা পলাতক আসামী তাদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ করে দেয়। এই মামলায় পদ্ধতি, আইন সবই যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রয়োগ করা হয়েছিলো। বিচারপ্রার্থী মানুষের দোয়া, সাক্ষীদের সহযোগিতা সবকিছু ছিল বলেই ঠিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
এরিটি: আসামীরা যেসব উন্নত রাষ্ট্রে পলাতক রয়েছে সেসব রাষ্ট্র আসামী প্রত্যার্পণের ক্ষেত্রে অনীহা দেখায় কেননা আমাদের এখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই সমস্যাটি আপনি কিভাবে দেখছেন?
সৈরের: আমাদের দেশের আইনে পলাতক আসামি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থার বিষয়ে বলা আছে। সেই সাথে পলাতক আসামি আশ্রয় দেওয়াটাও কিন্তু আমাদের দেশের আইনে অপরাধ। বহির্বিশ্বের কিছু দেশে যাদের আইনে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই, এ বিষয়টি সামনে রেখে রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্রের যে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে, সে ব্যাপারে তারা অনেক সময় সম্মত হয় না। আমাদের যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা করতে হবে। তবে যে দেশের যে আইন, সেটি সবার মেনে চলা উচিত। আমরা দেখতে পাই যে, আসামীর মানবাধিকার রক্ষায় সেসব দেশ সদা সোচ্চার কিন্তু একজন বিচারপ্রার্থীর মানবাধিকার সেখানে সমুন্নত রাখা সম্ভব হয় না, তখন বিদেশি রাষ্ট্রের আইন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
এরিটি: অনুগ্রহপূর্বক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে কিছু বলুন।
সৈরের: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে বাংলাদেশে আইসিটি আইনটি প্রণয়ন করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে সেই আইনের দ্বারা বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কোর্ট ছাড়া আমরা যে বিচার করতে পারবো এ ব্যাপারে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত এ বিতর্কের অবসান হয় এই বিচার সম্পাদনার মাধ্যমে যে আমাদের দেশে এই আইনের দ্বারা বিচার সম্ভব। আরেকটি বিষয় হলো যেহেতু দীর্ঘদিনের ব্যাপার, সেহেতু বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষী আনা, সাক্ষীর নির্ভয়ে চলাচল করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো। কেননা আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে সাক্ষী সুরক্ষার কোন বিধান নেই। তারপরেও এই আইসিটি আইনের অধীনে যতটুকু সম্ভব সাক্ষীকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া যারা অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো, মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ধর্মান্তরিত করেছে এবং যেগুলোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সেগুলো কোনো কোনো সাক্ষীর স্মৃতিপট থেকে মুছে গিয়েছে। তারপরও যতটুকু আদালতে এসে বলেছেন তারা সে বর্ণনাও অত্যন্ত লোমহর্ষক এবং বেদনাদায়ক।
শেষমেষ বিচার হয়েছে এবং বিচারে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে প্রসিকিউটররা সম্পন্ন করেছেন। কিছু কিছু আসামী নানাভাবে বিভ্রান্তি, দীর্ঘসূত্রিতা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। সেটিকে ধৈর্য এবং নিষ্ঠার সাথে আইসিটি আইন এবং পদ্ধতির মাধ্যমে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। কিছু মামলার আপিল এখনও বিচারাধীন। তাই এ ব্যাপারে আমি আর বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
এরিটি: আপনি কি মনে করেন যারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্য তাদেরকেও ভবিষ্যতে আমরা বিচার করতে পারবো বা করা উচিত?
সৈরের: এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা আছে কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি রয়েছে। তবে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
এরিটি: ২০০৪ সালে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা সম্পর্কে জানতে চাই। অনুগ্রহ করে যদি বলতেন।
সৈরের: নিরস্ত্র, শান্তিকামী, প্রতিবাদমুখর মানুষের সমাবেশে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত অস্ত্র, গ্রেনেড ব্যবহার করে, সরকার ও প্রশাসনের মদদপুষ্ট হয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাশূন্য করার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা জনাব জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী এবং আওয়ামীলীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকে হত্যা করা হয়। আমাদের এই উপমহাদেশ তো বটেই, যতদূর জানা যায় পৃথিবীতে অন্য কথাও যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে এই ধরণের গ্রেনেড ব্যবহার করার নজির নেই। ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং অপরাধ জগতের ঘৃণ্যতম অপরাধ যেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং অনেকে শরীরে স্প্লিন্টার বয়ে বেরিয়েছে। আহতদের মধ্যে ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফ অন্যতম। সেই সময় দুইটা মামলা হয়েছিলো, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে, আরেকটি হলো হত্যা মামলা। এই দুটো মামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করা হয়েছিলো, সেটা জজ মিয়া নাটক হিসেবে খ্যাত। মামলা দুটির চার্জশিট দাখিলের পর অভিযোগ খণ্ডনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। তখন দেখা যায় প্রকৃত আসামীদের অনেকের নামই চার্জশিটে আসেনি। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দরখাস্ত দেই এবং এর উপর উভয়পক্ষের শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। অধিকতর তদন্তে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। যাদের নাম আড়াল করা হয়েছিলো, তাদের নাম উঠে আসে সম্পূরক চার্জ শিটে। এই সময় বিচারিক আদালত ১২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এর মধ্যে আসামীপক্ষ কয়েকবার উচ্চ আদালতে যাওয়ায় সময়ক্ষেপণ হয়েছে। বিচারিক আদালতে আসামীদের সাজা হয়েছে এবং বর্তমানে মামলাটি আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ।
এরিটি: বর্তমানে আপনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের আইনশিক্ষার ব্যাপারে আপনার মূল্যবান মন্তব্য জানতে চাচ্ছি।
সৈরের: আইনপেশা এখনও একটি উত্তম পেশা। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হল আইনজীবিদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। আমরা চেষ্টা করছি বার কাউন্সিলের আদলে সারা দেশের বার এসোসিয়েশনগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। এটি আমাদের আইনপেশা এবং আইন শিক্ষার মানোন্নয়নেও সহায়তা করবে। সেই সাথে এটি আইনজীবীদের প্রফেশনাল এটিকেট বা পেশাদার আচরণ বজায় রাখতেও সাহায্য করবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আইন শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, তেমনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করে যাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই।
এরিটি: বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আমলের আইনকানুন এখনও বহাল রয়েছে। আপনি কি মনে করেন এগুলোর পরিবর্তন হওয়া দরকার?
সৈরের: আইন প্রয়োজনের আলোকে পরিবর্তিত হয়। এটি সামগ্রিকভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, সেটি বলা যাবে না। আমাদের দেশে যে আইনগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু আইনের চর্চা বেশি, কিছু আইনের চর্চা কম। তবে একটি বিষয় পরিলক্ষিত হয় যে, আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রায়শই আমাদের মাঝে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব।
এরিটি: বাংলাদেশে আইনের শাসনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো কী বলে আপনি মনে করেন?
সৈরের: আমাদের দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়। এতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত হয়। কাজেই আমাদের আইনের শাসন অক্ষুণ্ন রাখতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে হবে। তাহলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
এরিটি: আপনাকে ধন্যবাদ, স্যার।
সৈরের: আপনাদেরও ধন্যবাদ।