“তারুণ্যের ভাবনায় ফেইক নিউজ: মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি” শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা ‘এলকপ’ কর্তৃক ১২ই মার্চ ২০২৩ তারিখে ‘তারুণ্যের ভাবনায় ফেইক নিউজ: মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন ও অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ এবং উত্তরবঙ্গ সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি ও গুগল নিউজ ইনিশিয়েটিভের প্রশিক্ষক পুলকেশ ঘোষ।

আয়োজনের শুরুতে আলোচ্য বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন এলকপের গবেষক আরিফুর রহমান এবং ফারহান মাশুক। তাদের উপস্থাপনায় বাংলাদেশে ফেইক নিউজের প্রভাব এবং এর থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য পথ নিয়ে আলোকপাত করা হয়। জনাব আরিফুর রহমান তার বক্তব্যে গত দশ বছরে বাংলাদেশে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংসতায় ফেইক নিউজের প্রভাব আলোচনা করেন। এছাড়া বর্তমানে অনলাইনে সক্রিয় ফেইক নিউজ প্রচারকারীদের তথ্য তুলে ধরেন।তার প্রেজেন্টেশন অনুযায়ী, ফেইক নিউজের ফলে গণতন্ত্রের উপর যেসকল প্রভাব পড়ে তার মধ্যে অন্যতম হল নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর মানুষের আস্থা কমে যাওয়া, নাগরিক সমাজে গুজব ও অস্থিরতার সৃষ্টি হওয়া, রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং সংবাদ মাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ আরোপ। তিনি আরও বলেন যে মূলধারার গণমাধ্যমকে অবজ্ঞার মাধ্যমে ফেইক নিউজের সূত্রপাত হয় এবং এর মাধ্যমে দর্শকদের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করা হয়। প্রেজেন্টেশনের শেষাংশে তিন ধরনের সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, আইনি কাঠামো সংস্কার এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ড. বিল্লাহ তার বক্তব্যে মানবাধিকার রক্ষায় ফেইক নিউজ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

শুধু আইন তৈরি করে ফেইক নিউজ বন্ধ করা সম্ভব নয় বরং জনসচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যাবশক বলে তিনি মন্তব্য করেন। জনাব পুলকেশ গুগলের বিভিন্ন টুলস্ ব্যবহার করে ফেইক নিউজ চিন্তিত করার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কোন খবর বা তথ্য বিশ্বাস করার আগে তার উৎস ও সত্যতা যাচাই করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ফেইক নিউজ প্রতিরোধের অঙ্গীকার নিয়ে এলকপের ওয়েবিনারটি সকাল ১১ টায় শুরু হয় এবং দুপুর ১ টায় শেষ হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা আলোচ্য বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। পুরো ওয়েবিনারটির সঞ্চালনায় ছিলেন এলকপের গবেষক বিভা মোশাররফ।